কদিন ধরেই গানটা গুনগুন করছিলাম। মুশকিল হলো আজকাল কুন্তলার ব্লগ পড়তে পড়তে , মাঝে মাঝেই নিজের কথা লেখার ইচ্ছাটা চারা দেয়। আর এই দুদিন ধরে ভাবছি এইবার তো চালশে পড়বার সময় হয়ে গেল , এইবার পিছনদিকে তাকালে সব কিছু ক্রমশ আরো ঝাপসা হয়ে যাবে , তাই বসে পড়লাম , ঠিক ধরেছেন আমার ছোটবেলার কিছু কথা নিয়েই আজ বসেছি।
একেবারে খুব ছোটবেলার কথা ধরলে যেটা মনে পরে সেটা হলো যৌথ পরিবারের বাড়ির ছাদ এ , মাদুর এ রাতের বেলা খোলা আকাশের নিচে আমরা জ্যেঠতুত ,খুড়তুত ভাইবোনেরা ...... আর মা গান ধরেছেন ..... আকাশে পূর্নিমার চাঁদ।অনেকদিন পর্যন্ত এই ছবির সঙ্গে গানটাও মনে ছিল এখন আর গানটা ঠিকঠাক মনে পড়েনা , তাই আরো তাড়া , এইবেলা বাকি যা কিছু মনে আছে চুপচাপ লিখে ফেলি। ভোলার রোগটা রোজ বেড়েই চলেছে কিনা।
যাইহোক ওই ছাদ থেকেই একেবারে দৌড়ে চলে যেতে হবে মধুপুর , তখন আমার বয়েস তিন , এইটা বললেই আমার বর আমাকে নিয়ে হাসতে আরম্ভ করে , তার দৃঢ় বিশ্বাস , ওই অত্তটুকুন বয়েসের কথা কারোর মনে থাকার কথা নয় , জানি আপনারাও হয়তো হাসছেন , কিন্তু বিশ্বাস করুন মধুপুরের কিছু কিছু স্মৃতি আমার কাছে এখনো জলছবির মতন আবছা ভেসে ওঠে , মধুপুর এ একটা বাড়ি ভাড়া করে যাওয়া হয়েছিল , আমাদের সঙ্গে আরো অনেকে গেছিলেন , আমার দিদা , দিদার পাশের বাড়িতে থাকা এক পাড়াতুতো মামা মাইমা , তাদের মেয়ে , আমার এক দুরসম্পর্কের মাসি, আর আমরা তিনজন। তা সে বাড়িতে পৌঁছেই বাবা তার সদ্য কেনা ক্যামেরা তে সবার ছবি তুলছিল, আমি একপাশে দাঁড়িয়ে ভাবছি 'আমার ছবি তুলবে কি ?' , তারপর কি খুসি হযে গেলাম, যখন বাবা আলাদা করে আমাকে ডেকে এক ফুলেভরা গাছের পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি নিল। এরপর মনে পরে 'উশ্রী ' ঝরনার ধারে মা-এর হাত চেপে বসে আছি, বাকিরা যেখানে যাক তুমি এখান থেকে নড়বেনা 'মা' , মা আর কি করেন? সেইভাবেই ছবি তোলা আছে আমাদের, বিশ্বাস করুন এই নিয়ে আমাকে মা কখনো কিছুই বলেনি , আমিই মাকে অনেকবার বড় হয়ে জিজ্ঞাসা করে দেখেছি অপরাধবোধ টা আমার মনেই , মা কিছুই মনেও রাখতে পারেননি। এই মধুপুরের বাড়িতেই আমি প্রথম মাছের কাঁটা বেছে খেয়ে নিয়েছিলাম নিজে নিজে , তাই নিয়ে সবাইকার খেতে বসে কি প্রশংসা।
এরপর যৌথ পরিবার ছেড়ে আমাদের তিনজনের ছোট্ট সংসার। আমার ক্রেস যাত্রা। ভালই লাগত আমার ক্রেসের জীবন। অনেক খেলার সাথী , ছোট ভাই-বোন্। তাদের নিয়ে দিব্বি দিনের অর্ধেকটা কেটে যেত, আর মা , বাবা র ছুটির দিন এ , পাড়ায় চুটিয়ে খেলা। হাতে চটি নিয়ে পিট্টু থেকে শুরু করে বুড়ি-বসন্তি , গোল্লা-ছুট, শিরো -গাদি। .. আরো কত্ত কি , খেলতে খেলতে সন্ধ্যে ছাপিয়ে অন্ধকার নামত, মাঝে মাঝে মা - এর ডাক আসত .. '...বাড়ি চলে এস ' , আমি ছিলাম বেশ ভিতু স্বভাবের , তাই বেশিরভাগ দিনই ডাকের পরেই বাড়ি , কিন্তু কোনো কোনো দিন সেই ডাক অগ্রাহ্য করার সাহস জুটে যেত। .. ব্যাস কপালে এরপর বেশ পাড়া জানানি বকুনি থাকত। আরো একটা কথা না বললে চলছেই না , তা হলো রবিবারের দুপুরে মা এর ডাকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে আসে পাশের বাড়ি থেকে মাংসের সুঘ্রান নিতে নিতে বাড়িতে ঢুকে যেই দেখতাম আমাদের বাড়িতেও গ্যাস এর উপর বসানো প্রেসার কুকার লম্বা সিটি মারছে ..... আহা সে যে কি আনন্দ।
খেলার মাঠের ঝগড়া মাঝে মাঝে গড়িয়ে গড়িয়ে এবাড়ির বারান্দায় ও বাড়ির ডাইনিং স্পেস এ ঢুকে পড়ত , বেশিরভাগ সমেয়ই সবাইকেই বকুনি খেতে হত... দোষী নির্দোষ নির্বিশেষে। কালবৈশাখির ঝড় , বর্ষার বৃষ্টি , শীতের কাঁপুনি কোনো কিছুই আমাদেরকে দমাতে পারত না, অঝর ধারা ঝরলে মাঠে না যেতে পারলেও কোনো এক বাড়ির সিঁড়িতে দিব্বি জমিয়ে আড্ডা, indoor games নিয়ে বসতাম আমরা , আবার কখনো কখনো ছোটখাটো ফাংসান ও করে ফেলতাম , কি উৎসাহ আমাদের একদিনের জন্যে মা এর শাড়ি , make -up সব আমাদের। পুজোর দিনে মাঠে চেয়ার পেতে চলত জোর আড্ডা , আহ এই কটা দিনই তো মা ফুচকা , আলুকাবলি , ঘটি-গরম এ কোনো আপত্তি করবেনা। এই কটা দিনই তো রাত ৯ টা অবধি বাইরে থাকার অবাধ স্বাধীনতা .........
পাড়াতে বিকেল হলে আসত এক "বোলেগা -ওয়ালা " .... আপনাদের পাড়াতেও আসত কি ? এখনকার বাচ্ছারা তো আর বোধহয় তাকে দেখেনি। তার হাতের বয়ামে থাকত চুরন আর নুন , আহা কি অমৃত ...... তবে তার কাছে পৌঁছানোর আগে মা-এর মত ছিল জরুরি , কোনদিন তা অনায়াসেই মিলে যেত আর কোনদিন মিলতনা। ঘুগনি আর আলু-কাবলি রাও ছিল... কিন্তু সেই অনেক অনেক বছর আগে তারা আমাকে তেমন আকর্ষণ করতনা , মা এর হাতের ঘুগনি আলু-কাবলিতেই মন মজে থাকত , কিন্তু মা তো আর চুরন বানাতে পারতনা ......
এই সময়টাই এখন মনে হয় , জীবনের সেরা সময়। না ছিল কোনো দায়িত্ত , না চিন্তা।হরেক মজায় আর আনন্দে ভরা, সোনায় মোড়া দিনগুলো। লোড- শেডিং নামক এক মন খুসি করা জিনিস ছিল আমাদের , ওই অন্ধকারে মোমবাতি কিম্বা লম্ফের আলোতে অর্ধেকদিনই পড়ার ছাড় পাওয়া যেত , আর উপরের তলার বাচ্ছা ছেলেটি মনের আনন্দে বাস চালাত , আমার মা গান বা কবিতা শোনাত আমাকে। .. ওহ গানের কথায় মনে পরে গেল , আমাকে গান শেখাবার কত চেষ্টাই না আমার মা করেছেন , কিন্তু ফাঁকিবাজ আমাকে নিয়ে পেরে ওঠেননি , না গান শেখাটা ওই হারমোনিয়াম আর গলা সাধার মধ্যেই সীমিত হয়ে আছে , যেটা এখন আছে সেটা গান শোনবার ইচ্ছা , সুর আর কথার মায়াজালে প্রবেশের ইচ্ছাটাও মা এরই হাত ধরে....
আমাদের ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়ি তে মাঝে মাঝেই অনেক আত্মীয়স্বজন এর আগমন ঘটত , কোনদিন মা কে রাগ করতে দেখিনি তার জন্যে। সমস্ত তুতো ভাই বোনেরা তাদের মা বাবা- রা দল জুটিয়ে আসতেন বাড়িতে। আমাদের সেই সব রাত জাগা আড্ডা .. সারাদিন খাওয়া দাওয়া। বাবা বানাতেন চমকে দেবার মতন ফিস রোল ..... চপ ..... মা বানাতেন মোগলাই নয়ত কখনো চাউমিন। কুচো চিংড়ি আর ডিমের সেই চাউমিন ....... আমাকে এখনি দিলে একথালা তুলে দেব ..... কিন্তু দুঃখের বিষয় , এখন দুজনের কেউ আর সেইসব বানাতে চায়না আর আমি শিখেছি শর্ট কাট ..... ফোন ঘুমাও ..... খানা লাও।
এরপরই হঠাৎ একদিন টের পেলাম বড় হয়ে গেছি, যেদিন মা বেশ গুরু গম্ভীর স্বরে বললেন ' এদিক ওদিক অন্ধকারে ঢুকে লুকোচুরি খেলা ছাড়া কি আর খেলা নেই তোদের ?' সেইদিন থেকে আসতে আসতে বড় হতে লাগলাম আমি। খেলার মাঠে ছুটোছুটি বন্ধ হলো, শুরু হলো বিকেলের অকারণ গল্পের আসর , মাঝে মাঝে অবশ্য খেলতে যে ইচ্ছা করত না তা নয় , তবে খেলা ছেড়ে বেশি আকর্ষণ এল ওই আজেবাজে গল্পে। ছেড়ে দিলাম ক্রেস , একলা ঘরে ফেরা শুরু হলো , শিখে গেলাম কি করে ফ্রিজের খাবার গরম করে ফেলতে হয়। আসতে আসতে হারিয়ে গেল ছোটবেলা একটা বেশ খুশির রেশ রেখে। আজকাল সেই ফেলে আসা ছোটবেলাই আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে আমার মেয়ের হাত ধরে। এ আরেক মজা ... . জীবনের ফেলে আশা মিষ্টি দিনগুলো এখন অবিরাম চলে হেঁটে বেড়াচ্ছে আমার সামনে ........
এরপর যৌথ পরিবার ছেড়ে আমাদের তিনজনের ছোট্ট সংসার। আমার ক্রেস যাত্রা। ভালই লাগত আমার ক্রেসের জীবন। অনেক খেলার সাথী , ছোট ভাই-বোন্। তাদের নিয়ে দিব্বি দিনের অর্ধেকটা কেটে যেত, আর মা , বাবা র ছুটির দিন এ , পাড়ায় চুটিয়ে খেলা। হাতে চটি নিয়ে পিট্টু থেকে শুরু করে বুড়ি-বসন্তি , গোল্লা-ছুট, শিরো -গাদি। .. আরো কত্ত কি , খেলতে খেলতে সন্ধ্যে ছাপিয়ে অন্ধকার নামত, মাঝে মাঝে মা - এর ডাক আসত .. '...বাড়ি চলে এস ' , আমি ছিলাম বেশ ভিতু স্বভাবের , তাই বেশিরভাগ দিনই ডাকের পরেই বাড়ি , কিন্তু কোনো কোনো দিন সেই ডাক অগ্রাহ্য করার সাহস জুটে যেত। .. ব্যাস কপালে এরপর বেশ পাড়া জানানি বকুনি থাকত। আরো একটা কথা না বললে চলছেই না , তা হলো রবিবারের দুপুরে মা এর ডাকে বাড়ি ফিরতে ফিরতে আসে পাশের বাড়ি থেকে মাংসের সুঘ্রান নিতে নিতে বাড়িতে ঢুকে যেই দেখতাম আমাদের বাড়িতেও গ্যাস এর উপর বসানো প্রেসার কুকার লম্বা সিটি মারছে ..... আহা সে যে কি আনন্দ।
খেলার মাঠের ঝগড়া মাঝে মাঝে গড়িয়ে গড়িয়ে এবাড়ির বারান্দায় ও বাড়ির ডাইনিং স্পেস এ ঢুকে পড়ত , বেশিরভাগ সমেয়ই সবাইকেই বকুনি খেতে হত... দোষী নির্দোষ নির্বিশেষে। কালবৈশাখির ঝড় , বর্ষার বৃষ্টি , শীতের কাঁপুনি কোনো কিছুই আমাদেরকে দমাতে পারত না, অঝর ধারা ঝরলে মাঠে না যেতে পারলেও কোনো এক বাড়ির সিঁড়িতে দিব্বি জমিয়ে আড্ডা, indoor games নিয়ে বসতাম আমরা , আবার কখনো কখনো ছোটখাটো ফাংসান ও করে ফেলতাম , কি উৎসাহ আমাদের একদিনের জন্যে মা এর শাড়ি , make -up সব আমাদের। পুজোর দিনে মাঠে চেয়ার পেতে চলত জোর আড্ডা , আহ এই কটা দিনই তো মা ফুচকা , আলুকাবলি , ঘটি-গরম এ কোনো আপত্তি করবেনা। এই কটা দিনই তো রাত ৯ টা অবধি বাইরে থাকার অবাধ স্বাধীনতা .........
পাড়াতে বিকেল হলে আসত এক "বোলেগা -ওয়ালা " .... আপনাদের পাড়াতেও আসত কি ? এখনকার বাচ্ছারা তো আর বোধহয় তাকে দেখেনি। তার হাতের বয়ামে থাকত চুরন আর নুন , আহা কি অমৃত ...... তবে তার কাছে পৌঁছানোর আগে মা-এর মত ছিল জরুরি , কোনদিন তা অনায়াসেই মিলে যেত আর কোনদিন মিলতনা। ঘুগনি আর আলু-কাবলি রাও ছিল... কিন্তু সেই অনেক অনেক বছর আগে তারা আমাকে তেমন আকর্ষণ করতনা , মা এর হাতের ঘুগনি আলু-কাবলিতেই মন মজে থাকত , কিন্তু মা তো আর চুরন বানাতে পারতনা ......
এই সময়টাই এখন মনে হয় , জীবনের সেরা সময়। না ছিল কোনো দায়িত্ত , না চিন্তা।হরেক মজায় আর আনন্দে ভরা, সোনায় মোড়া দিনগুলো। লোড- শেডিং নামক এক মন খুসি করা জিনিস ছিল আমাদের , ওই অন্ধকারে মোমবাতি কিম্বা লম্ফের আলোতে অর্ধেকদিনই পড়ার ছাড় পাওয়া যেত , আর উপরের তলার বাচ্ছা ছেলেটি মনের আনন্দে বাস চালাত , আমার মা গান বা কবিতা শোনাত আমাকে। .. ওহ গানের কথায় মনে পরে গেল , আমাকে গান শেখাবার কত চেষ্টাই না আমার মা করেছেন , কিন্তু ফাঁকিবাজ আমাকে নিয়ে পেরে ওঠেননি , না গান শেখাটা ওই হারমোনিয়াম আর গলা সাধার মধ্যেই সীমিত হয়ে আছে , যেটা এখন আছে সেটা গান শোনবার ইচ্ছা , সুর আর কথার মায়াজালে প্রবেশের ইচ্ছাটাও মা এরই হাত ধরে....
আমাদের ছোট্ট ফ্ল্যাটবাড়ি তে মাঝে মাঝেই অনেক আত্মীয়স্বজন এর আগমন ঘটত , কোনদিন মা কে রাগ করতে দেখিনি তার জন্যে। সমস্ত তুতো ভাই বোনেরা তাদের মা বাবা- রা দল জুটিয়ে আসতেন বাড়িতে। আমাদের সেই সব রাত জাগা আড্ডা .. সারাদিন খাওয়া দাওয়া। বাবা বানাতেন চমকে দেবার মতন ফিস রোল ..... চপ ..... মা বানাতেন মোগলাই নয়ত কখনো চাউমিন। কুচো চিংড়ি আর ডিমের সেই চাউমিন ....... আমাকে এখনি দিলে একথালা তুলে দেব ..... কিন্তু দুঃখের বিষয় , এখন দুজনের কেউ আর সেইসব বানাতে চায়না আর আমি শিখেছি শর্ট কাট ..... ফোন ঘুমাও ..... খানা লাও।
এরপরই হঠাৎ একদিন টের পেলাম বড় হয়ে গেছি, যেদিন মা বেশ গুরু গম্ভীর স্বরে বললেন ' এদিক ওদিক অন্ধকারে ঢুকে লুকোচুরি খেলা ছাড়া কি আর খেলা নেই তোদের ?' সেইদিন থেকে আসতে আসতে বড় হতে লাগলাম আমি। খেলার মাঠে ছুটোছুটি বন্ধ হলো, শুরু হলো বিকেলের অকারণ গল্পের আসর , মাঝে মাঝে অবশ্য খেলতে যে ইচ্ছা করত না তা নয় , তবে খেলা ছেড়ে বেশি আকর্ষণ এল ওই আজেবাজে গল্পে। ছেড়ে দিলাম ক্রেস , একলা ঘরে ফেরা শুরু হলো , শিখে গেলাম কি করে ফ্রিজের খাবার গরম করে ফেলতে হয়। আসতে আসতে হারিয়ে গেল ছোটবেলা একটা বেশ খুশির রেশ রেখে। আজকাল সেই ফেলে আসা ছোটবেলাই আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে আমার মেয়ের হাত ধরে। এ আরেক মজা ... . জীবনের ফেলে আশা মিষ্টি দিনগুলো এখন অবিরাম চলে হেঁটে বেড়াচ্ছে আমার সামনে ........
কী সুন্দর, কী সুন্দর। আমার ভালোও লাগছে, হিংসেও হচ্ছে, এই বুঝি অবান্তরের ব্যবসা লাটে ওঠে, সেই ভয়ও হচ্ছে---সব মিলিয়ে অনুভূতির একেবারে মেলা বসে গেছে। আপনি তিন বছর বয়সে মাছ বেছে খেয়েছিলেন, ইচ্ছাডানা? আমার ছবিটা কল্পনা করেই হাসি পেয়ে যাচ্ছে। একটা ভীষণ ছোট, ভীষণ গম্ভীর মুখ করে, বাবু হয়ে বসে মাছ বাছছে। ছোট ছোট হাত দিয়ে। ছবিটার কথা ভাবলেই মন ভালো হয়ে যায় কি না? খুব ভালো হয়েছে, আরও গল্প শোনার জন্য মুখিয়ে রইলাম।
ReplyDeleteআনাড়ি কে উৎসাহ দেবার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ তোমাকে :-) . আহা অনেক অনেক জন্ম পর যেন "অবান্তরের ' মতন একটা ব্লগের মালকিন হতে পারি ... ... এটাতো প্রায়ই ভাবি। চুপি চুপি আজ বলে দিলাম তোমাকে :-) , হা হা , ঐটা ভাবলে আমার নিজেরই এখন অবাক লাগে।..... কি করে যে মাছ টা বেছে খেয়ে নিয়েছিলাম।
Deleteদিব্যি লিখেছেন তো ! খুব বেলাত কিছু স্মৃতি আমার ও মনে আছে। যেমন আমার দাদুর পোষা বেড়াল পেল্লাদের পাজি পাজি মুখটা। দাদু বৈতরনী পেরিয়েযান আমার আড়াই বছর বয়সে। পেল্লাদকেও আর দেখিনি। আর এই যে বললেন মেয়ের হাত ধরে আবার ফিরে যাওয়া, এইটা একদম খাঁটি কথা। আমার ছোটো পিস টার হাত ধরে অনেক কাল বুড়ো থাকার পর আবার মাঝে মাঝে ছোটো হতে পারছি। আপনার ঝকঝকে হাত। লেখা থামাবেন না। লিখতে থাকুন।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ সোমনাথ আমাকে উৎসাহ দেবার জন্যে । ছোটবেলার গল্পই এমন যে বারেবারে বলতে ইচ্ছা করে আর গল্পও পুরনো হয়না।
Delete